বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
ভাস্কর্য নিয়ে স্ট্যাটাস : ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

ভাস্কর্য নিয়ে স্ট্যাটাস : ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

ভাস্কর্যের পক্ষ-বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কবির হোসাইন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের এক নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গতকাল শনিবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির হোসাইন (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগ)-কে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

জানা গেছে, কবির হোসাইন সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডিতে ভাস্কর্যের পক্ষ-বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাস তিনি লেখেন-

‘‘সেখানে বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (সা.) বলেছিলেন :

‘আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি –
১.আল কুরআন
২.আল হাদিস

যদি তোমারা এ দুটোকে আঁকড়ে ধর, তবে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।’

অথচ আজ আমরা এ দুটার আশেপাশেও নেই , সূরা ফাতিহা পড়তেই ৩২টা দাঁতের মাঝে মহাযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়, শুক্রবার ছাড়া মসজিদের আশেপাশেও যাওয়া হয় না, উত্তরাধিকারসূত্রে মুসলমান হয়েছি, কুরআন হাদিসের দুই অক্ষর জ্ঞানও নাই, অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুফতি সাহেব সেজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছি! হারামকে হালাল বানাচ্ছি আর হালালকে হারাম !!

তাদের যুক্তিগুলো বেশ দারুণ :

#রহিমুদ্দী মুসলমান, সে নামাজ পড়ে না, তাই আমি নামাজ না পড়লেও চলবে, তাই না??
#ওমুক দেশে, তমুক দেশে ভাস্কর্য আছে, মূর্তি আছে, সুতরাং মূর্তি বানানো সওয়াবের কাজ !!
#ওমুকের ঘরে কুরআন নাই, তাই কুরআন পড়া হারাম!
#মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে কোন মুফতি নাই, মাওলানা নাই, হুজুর নাই, তাই এদেশ নিয়ে কথা বলার অধিকার তাদের নাই, তাই না?? তবে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের ৭ জনই মুসলমান, বীর উত্তম ৬৮ জনের মধ্যে ৬৭ জন মুসলমান, বীরবিক্রম ১৭৫ জনের মধ্যে কতজন মুসলমান? খবর আছে ? মাত্র ১৭২ জনই মুসলমান ! বীরপ্রতীক ৪২৬ জনের মধ্যে কতজন মুসলমান ?? খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার!
আর এরা ইসলামটা কাদের কাছ থেকে শিখছে??

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন :

‘যদি স্বয়ং মুহাম্মাদ (সা.) আমার নামে তার কথা রচনা করে চালাত, তবে তার দক্ষিণ হস্ত চেপে ধরতাম, আর কেটে ফেলতাম তার গ্রীবা! তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতো না’ (সূরাহ হাক্কাহ)

কুরআনের একটা আয়াতও যদি কেউ বিকৃত করে তার পরিণতি কি হতে পারে, কল্পনা করা যায়?

মামুনুল হক যদি কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে, তার কন্ঠনালী কেটে দাও, যদি কুরআন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহ এটাকে হারাম করে, তবে কোন বাপের ব্যাটা এটাকে হালাল করার সাহস রাখে ??

কুরআনের বিরোধিতা যেই করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াত ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করবে না ঈমানদাররা! হোক সে মামুনুল হক, মুজিব, জিয়া! হোক সে আওয়ামী, বিএনপি, বামাতি বা জামাতি!

ইসলামের প্রতিনিধিত্ব রহিমুদ্দ,সলিমুদ্দি, কলীমুদ্দিরা করে না, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল করেন!

ইসলাম শিখতে হলে কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মনগড়া যুক্তি খাটবে না!

একটা কথা মাথায় রাখবেন,

আল্লাহর কোন আইন যদি আপনি না পালন করতে পারেন, সেটা অন্য কথা! তবে যদি তার কোন আইনের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা, অস্বীকারও যদি করেন, আর নিজেকে যতই ঈমানদার দাবি করেন না কেন, মনে রাখবেন, আপনি খাঁটি মুসলমান না, পাক্কা মুনাফিক! আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করাও খাঁটি মুসলমানের জন্য ফরজ!’’

এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কবির হোসাইনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ এক নেতা নিশ্চিত করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com